সাফল্য কিভাবে আসে

# দূরদৃষ্টি এটি এমন একটি গুণ যা না থাকলে কোন ক্ষেত্রেই সাফল্য লাভ সম্ভব নয়, ব্যবসায় তো নয়ই। দূরদৃষ্টি আসে কি ভাবে? প্রাথমিক ভাবে চারপাশে কী ঘটতে চলেছে সে সম্পর্কে একটা নজর একটা যুক্তিগ্রাহ্য ধারণা থাকা দরকার।
# কথার দাম কেউ কথা দিলে আমরা চাই তিনি কথা রাখুন। কিন্তু আমি –আপনি সবসময়ই কি কথা দিয়ে কি কথা রাখি? আপনি জানেন কথার দামই একজন মানুষকে অন্য মানুষের কাছে অনেকের থেকে বিশিষ্ট করে দেয়। আপনি নিজে যদি কাউকে কথা দিয়ে কথা রাখেন, তাহলে তিনিও অন্তত আপনার ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন কথার খেলাপ না করতে। কথার দাম রাখলে একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরী হয়, যেটা যে কোনও ক্ষেত্রেই আপনার উপকারে আসার সম্ভাবনা।
# মনের প্রশান্তিঃ আমরা কে না শান্তিতে থাকতে চাই! কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এমনই একটা জায়গা যেখানে সব সময় মেজাজ ঠান্ডা রেখে কাজ করা দুঃসাধ্য। কিন্তু ভেবে দেখুন মেজাজ গরম হলে কি আপনার কাজ করার পথ সুগম হয়? এখানে রাগ, উত্তেজনা, টেনশন এসব থাকলে কি আপনার কাজে ক্ষতি হয় না? আপনি জানেন, কিন্তু নিজেকে সামলাতে পারেন না। মন শান্ত রাখা যায় কি ভাবে? অনেক উপায় আছে। কয়েকটা ফলপ্রসু উপায় হলো স্বাস্থ্য ভাল রাখা, হেসে ‘গুরুতর’ সমস্যাটিকে হাল্কা করে দেওয়ার চেষ্টা করা, মান-অপমান গায়ে না মেখে নিরপেক্ষভাবে তার বিচার করা ইত্যাদি।
# সাহসী হোন সাহসের অভাব থাকলে সাফল্য আসা সম্ভব নয়, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে কাজই করুন না কেন সাহসের সঙ্গে করুন। ভয় পাওয়া ব্যাপার তখই থাকে তখনই, যখন নিজের কাজে গলদ থাকে, বিশেষত গাফলতিহেতু। সফল হওয়ার জন্যে উদ্যোগ নিন, মনে জোর আসুন, সাহসভরে এগিয়ে যান। তবে একটা কথা, প্রথমেই খুব সাহস দেখাবেন না। একটু একটু করে এগোন, সাহস বাড়াতে বাড়াতে চলুন। কিছুদিন পর দেখবেন অনেক কিছু আপনি নির্ভয়ে করতে পারছেন। যেগুলো আপনি করতে পারবেন বলে কখও ভাবেননি।
# সততা সততা শব্দটি এখন ইংরেজিতে যাকে বলে ‘র্ডাটি ওয়ার্ড’ তাই। সততা এবং সাফল্য যেন একে অপরের শত্র“। সাফল্য পেতে গেলে, আমরা ধরেই নিয়েছি, বেশ কিছুটা অসৎ না হলে চলে না। ধারণাটি যে ভ্রান্ত সেটা আপনি সৎ থেকেই বুঝিয়ে দিতে পারেন। সৎঅর্থে নিজের বিবেকের কাছে সৎ। আর যাই করুন নিজেকে ধোঁকা দেবেন না। নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকা থাকাটা যে মনে কী পরিমাণ বল যোগায় তা নিজে পরখ করে না দেখলে বোঝা যায় না। তা সত্তেও যদি মনে হয় যে কিছুটা অসৎ নয়, কৌশলী হোন। মনে রাখবেন এই দুটি শব্দ কিন্তু সমার্থক নয়।
# ভাল ব্যবহার এ প্রসঙ্গে বিশদ আলোচনার দরকার আছে কি? ভাল ব্যবহার বন্ধুর সংখ্যা বাড়ায়, অনেক সমস্যার হাত থেকে বাঁচায়,অন্যকে বিশ্বাস করার ভরসা যোগায়। বলা বাহুল্য এ সব সাফল্যের সোপান।
# কাজের প্রতি ভালবাসা যে-কাজ করছেন সে কাজে যদি আপনার মন না থাকে তাহলে তার পেছনে পরিশ্রম বৃথা। যে-কাজ করতে আপনার ভাল লাগে, যে-কাজে আপনি উৎসাহ পান, যে-কাজ আপনার মনের মত সেই কাজেই নিজেকে নিয়োজিত করা উচিত। হয়তো সবক্ষেত্রে বৈভবীলাভ আপনার হবে না। কিন্তু আর্থিক সাফল্যই শেষ কথা নয়। যদিও এটা দুর্ভাগ্যজনক যে সমাজ সেই ব্যক্তিকেই সফল বলে মনে করে যার বিত্ত আছে।
# নিজে নিজে শিখুন আপনাকে যদি কেউ হাত ধরে কাজ শিখিয়ে দেন তাহলে সেটা তো বেশ ভাল। কম সময়েই আপনি কাজ শিখে যাচ্ছেন। কাজ নিজে করুন। নিজে নিজে কাজ করতে থাকলে কাজ সম্পর্কে যেটা শেখা যায় সেটা পরে উপকারে আসে। যদিও এতে সময় বেশি লাগে।
# প্রতিকূলতা বনাম আত্মবিশ্বাস প্রতিকুল অবস্থায় কে না পড়েন। উতরে যান তাঁরাই যাঁদের মনের জের রয়েছে, রয়েছে আত্মবিশ্বাস। কোনও অবস্থায়তেই ভেঙ্গে পড়বেন না। কেন না তাতে লাভ নেই। অবস্থা বিপক্ষে গেলে মনে মনে কল্পনা করুন সেই অবস্থায় কত দূর পর্যন্ত ক্ষতি আপনার হতে পারে। একেবারে চরম ক্ষতির কথা ভেবে রাখুন। এবার দেখুন যদি সত্যি সত্যিই অবস্থা আপনার কল্পনা অনুযায়ী ঠিক হয়, তাহলে আপনি কী করতে পারেন। সেই দুর্ভাগ্যের জন্যে পরিকল্পনা করুন। তবে আশার কথা হল বেশিরভাগ সময়ই অবস্থা আপনার আশঙ্কা অনুযায়ী অতটা খারাপ হয় না। এ-ছাড়া মনে করার চেষ্টা করুন অতীতে প্রতিকূল অবস্থা থেকে কী ভাবে আপনি বেরিয়ে এসেছিলেন। স্মৃতি হাতড়েও আপনি উদ্ধারের কিছু হদিস পেয়ে যেতে পারেন।
# ধৈর্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটা কাজ শুরু করি তারপর রাতারাতি ফল আশা করি। মনে রাখা দরকার আমাদের অগ্রগতি একটানা হয় না, দ্রুতও হয় না। ডেল কার্নেগির একটা মত ছিল। তিনি বলে ছিলেন ধীরে ধীরে উন্নতী এাঁ সর্বদা সত্যি ঘঁনা নয়। আমাদের অগ্রগতি হয় হঠাৎ হঠাৎ, যেন ঝাঁকুনী দিয়ে। তারপর দুম করে সেটা থেমে যায়। তখন একটা সময় আসে যে মনে হয় সত্যি সত্যিই কিছু এগোচ্ছে না কি এতদিনের অগ্রগতি বৃথা গেল। আবার হঠাৎ করেই অগ্রতির সূচনা হয়। এ-কথাটা মাথায় রাখলে হাল ছাড়ার প্রশ্ন উঠে না।
# স্বচ্ছ ধারণা যে কাজ করছেন বা করতে চলেছেন সে সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার। নইলে পদে পদে হোঁচট খেতে হয় বা পরে আক্ষেপ করতে হয়। আপনার লক্ষ্য কী, জীবনে আপনি কী চান এটা আপনার কাছে পরিষ্কার থাকা উচিত। বুদ্ধি, কর্মদক্ষতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে যে একটা অতি সাধারণ জীবন কাটান এবং একটা গ্লানিবোধে ভোগেন তার কারণ তাঁরা ঠিক কি যে চান এরাঁ নিজেরাই জানেন না।
# পরাজয় হাসিমুখে মেনে নিন আমরা যাঁদের চুড়ান্ত সফল বলে জানি ও মানি, তাঁরাও জীবনে বহুবার ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যর্থতা হাসিমুখে স্বীকার করে নেওয়া ভাল। তবে সেই সঙ্গে বিচার করা উচিত ব্যর্থতার কারণ। যাতে অতীতে ভূল হয়ে থাকলে ভবিষ্যতে তা শোধরানো যায়।
# আত্মপ্রত্যয় নিজের উপর আস্থা রাখা একটা বিশাল গুণ। যে-কোনও সফল মানুষের মধ্যেই এটা থাকে। আত্মবিশ্বাস আসে কী করে? আত্মবিশ্বাস আসে কোনও কাজ সুষ্ঠভাবে পালন করে উঠতে পারলে। ছোট ছোট সাফল্যই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। আত্মবিশ্বাস আসে বুদ্ধি এবং কর্মদক্ষতার জোরেও।
# নিয়মনিষ্ঠা জীবনে ডিসিপ্লিন খুব বড় জিনিস। ডিসিপ্লিনড হওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, সময়ের অপচয় রোধ করা যায়। ফলে অনেক বেশি কাজ করা যায়, কাজ অনেক সুষ্ঠভাবে করা যায়, কাজে টেনশন কমে, এবং পেশাগত কাজ শেষ করার পরও নিজের ব্যাক্তগত সময়টুকু বের করে নেয়া যায়। আপনি যদি ডিসিপ্লিনড না হন তাহলে দিনরাত কাজ করার পরও মনে হবে যেখানকার কাজ সেখানেই রয়ে গেছেন, কাজের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন শুধু-এগোতে পাছেন না।
নিজেকে ডিসিপ্লিনড করে ফেলার কয়েকটি সহজ উপায় আছে।
১ # আগের দিন রাত্রে পরের দিন কোন কাজ কখন করতে হবে তার একটা তালিকা করে ফেলুন। ২ # কোনও কাজ ফেলে রাখবেন না। মনে রাখবেন যে একটা সাধারণ কাজ ফেলে রাখলে পরে সেটা করা কঠিন হয়ে পড়ে, অবশেষে তা বা সেই কাজ কঠিন হয়ে পড়ে, এ ভাবে একটা কঠিন কাজ ফেলে রাখলে পরে সেটা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
# কাজের জায়গা কাজেরই জায়গায় আমরা কাজের জায়গায় আসি কাজ করতে। তাই আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা বাড়িতেই রেখে আসা উচিত। বিপরীত ভাবে তেমনই উচিত অফিসের কাজ বাড়িতে না নিয়ে যাওয়া। অনেকের কাজ ব্যক্তিগত সমস্যার কথা অফিসে বলে সমবেদনা কুড়িয়ে কম কাজ করার চেষ্টা করেন। এটা একদিন না একদিন ক্ষতি করতে বাধ্য।
# নিজের ক্ষমতা যাচাই করুন কথায় আছে চেষ্টা করলে মানুষ পারে না এমন কাজ নেই। কিন্তু বাস্তব কথাটা হল প্রত্যেক মানুষেরই একটা সীমাবদ্ধতা আছে। চেষ্টা করলে কিছুটা এগুনো যায় আরও চেষ্টা করলে আরও কিছুটা এগুনো যায় কিন্তু একই ধরণের ‘উদ্যোগ’ –এ সবাই নিলে সবাই নিশ্চয় একই রকম সাফল্য পাবেন না। আপনার ক্ষমতা নিজের কাছেই যাচাই করতে একটা সময় আপনি বুঝে যাবেন যে কতটা এগোতে পারবেন। উচ্চাশা রাখুন, কিন্তু পা যেন মাটিতে থাকে।
# শেখার ইচ্ছে জানুন, যতটা জানা যায়, অন্তত নিজের পেশার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে পেশায় ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে এমন সম্পর্কিত (অ্যালায়েড) বিষয় নিয়েও খোঁজ খবর বা পড়াশোনা করতে থাকুন।
# সমস্যা থাকবেই আমাদের সবার জীবনেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকে। সেগুলোকে আমাদের জীবন কতটা প্রভাবিত করতে দেব-সেটা ঠিক করতে হবে নিজেকেই। দু’একটা সমস্যায় উতলা হয়ে পড়াটা বুদ্ধিমান লোকের কাজ নয়।
# সফলতার জন্য যোগাযোগ বা স্মরণ করা সফলতার জন্য বড় মাধ্যম হলো ১.সামাজিক যোগাযোগ ২.বিভিন্ন ধরণের পত্র/পত্রিকা, ৩. ইন্টারনেট সার্ভিস সমূহ ৪. একাডেমিক জার্নাল ৫. বন্ধ/ুবান্ধব ৬.বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ফেয়ার,ইত্যাদি।এর ভিতর সামাজিক যোগাযোগই প্রধান। বিশেষ করে আত্মীয়-স্বজনরাই এর মূল ধারক ও বাহক।
তারপর আসে বন্ধু/বান্ধব, যদি অকৃত্তিম বন্ধু থেকে থাকে! বর্তমানে ক্রমেই চাকরীর বাজার সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। পেশাগত দক্ষতা ও শিক্ষাজীবনে ভাল ফলাফল থাকা সত্তেও অনেক চাকুরী ফসকে যাচ্ছে। কারণ এখন চাকরীদাতারা পত্রিকা, ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত, হঠাৎই কোথাও নিয়োজিত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যাদের একযোগে সবগুলো সাইট ভিজিট করার সামর্থ নেই? এক্ষেত্রে একমাত্র সামাজিক যোগাযোগ। যদি সমাজের আত্মীয়-স্বজন সুবান্ধব হন।
তারপর যদি হন সেরার সেরা। তাহলে তো কথাই নেই। একদিন গল্প হবেন। তারপরও সেখানেও আছে কারও না কারও সহানুভূতি, দয়া, যিনি জানেন বুঝেন আপনার প্রয়োজন।
# কেন প্রয়োজন যোগাযোগ বর্তমান যুগ প্রতিযোগির যুগ। চাকরি/ ব্যবসা/ পণ্যসামগ্রীর বাজার/ বন্ধুবান্ধব/ আত্মীয় স্বজন/ সকলের সাথেই যোগাযোগ রক্ষা করা একান্তই জরুরী। কেননা এতে সকল সময়ে সবকিছু আপডেট থাকে, আপদে বিপদে সহযেগিতা, পরামর্শ, বিভিন্ন্ ধরণের কাজ/কর্ম সকলের সহযোগিতায় করা সম্ভব হয়। তাই আপনাকে নিজের প্রয়োজনেই আপনাকেই যোগাযোগ করতে হবে। তাই সকল ক্ষেত্রেই যোগাযোগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে আপনি যে সকল সুবিধা পাবেন:
১> যে সব নির্দিষ্ট তথ্য জানতে চাইছেন,সেগুলো অনায়াসে জানা যাবে।
২> নতুন কোন কাজের ধারা সম্পর্কে জানা যাবে।
৩> বিকল্প চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হবে।
৪> কাজের ক্ষেত্রে, সম্ভাবনা মুখী কোন কাজের/ব্যবসার বিষয়াদি হালনাগাদ রাখতে পারবেন।
৫> নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দক্ষতা তৈরী করে আপনার অবস্থানের উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন, অথবা এমন কারো সাথে যোগাযোগ হতে পারে,যিনি আপনাকে সহায়তা করতে পারবেন।
৫> যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করুন। যার অর্থ হলো অন্যের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব তৈরি বলতে পারেন। এটা পরিবার, আত্মীয়স্বজন,বন্ধুবান্ধব কিংবা সাবেক ও বর্তমান সহকর্মী-সবাই আপনার কাজের যোগাযোগের মাধ্যম। তাদের মাধ্যমেই গড়ে তুলুন আপনার জানা-শোনার ক্ষেত্র অর্থাৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সবার সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে ভালো সুযোগ হলো, যে কোন উৎসবে একত্রিত হওয়া। অথবা নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানাতে পারেন। কোন মেলায় ,কর্মশালায় অংশ নিন। এতে আপনার প্রয়োজন ও প্রত্যাশার সমন্বয় ঘটবে।
# প্রাধান্য দিন ইচ্ছাকে যোগাযোগ বা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইচ্ছাকে প্রধান্য দেওয়া জরুরি। যেসব জায়গায় আপনার যেতে ইচ্ছে করে না এবং যেসব লোকের সঙ্গ পছন্দ করেন না, তাদের কাছথেকে যত দূর সম্ভব দূরে থাকুন। যারা মূত উদার মানসিকতার ও সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক, তাদের সঙ্গে আপনার ক্যারিয়ার/ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলুন। আপনার সমস্যাগুলো তাদের জানিয়ে সমাধান চান,পাশাপাশি তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করুন।
# হোন সংযোগ স্থাপনকরী আপনি যদি নিজের গন্ডিতেই আটকে থাকেন, কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করে ভাবেন, তাঁরাই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, তাহলে হয়তো আপনি ভূল করছেন। ভালো বন্ধু হতে হলে নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ করতে হবে। চোখ-কান খোলা রাখুন। কোন নতুন তথ্য পেলে তা বিস্তারিত ভাবে তথ্য জেনে নিন।
সবার সাথে সম্পর্ক রাখুন, দৈনিক, সপ্তাহে , মাসে, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, সুভার্থী, এদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। সময়ে একত্রিত হোন, কুশলাদি বিনিময় করুন। এটা শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই নয়, পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্যও জরুরী এবং প্রয়োজন।

Post a Comment

0 Comments

সাফল্য কিভাবে আসে